সাজিদুল ইসলাম সাজিদ : সিলেট তিনশত ষাট আউলিয়ার এলাকা। ছোট-বড় বেশ কয়েকটি নদী সিলেট বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আছে।
গত ১৬ জুন থেকে অতিবৃষ্টি উজানের পাহাড়ি ঢলের ফলে সুলেট বিভাগে তথা সিলেট সুনামগঞ্জ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ জায়গায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।
হঠাৎ করে পানি আসার ফলে মানুষ খেয় হারিয়ে ফেলে। ঘর বাড়ি থেকে মানুষ কোন রকম ভাবে বাহির হতে পেরে আশ্রয় কেন্দ্রে যায়।
অনেক অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কিন্তু সমস্যা দাঁড়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা যাহারা বাড়িতে আটকা পড়েছেন তাদের আহারের কি ব্যবস্থা হবে?
অনেকেরই ধান চাল ঘরবাড়ি গরু ছাগল আকস্মিক বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। যখন এই মানুষগুলো উপোস অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিল।
ঠিক তখনই ত্রাতা হিসেবে হাজির হন মানবতার ফেরিওয়ালা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেটের বন্যা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করেন।
খাদ্য সামগ্রী এবং সাহায্য নিয়ে তিনি নিজে এবং উনার ফুটবল একাডেমির ছেলেদের মাধ্যমে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য নিয়ে চলে গেছেন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে বন্যার্থ মানুষের জন্য সাহায্য আবেদন করেন। দেখা গেল এক বিশ্বাসের খেলা।
মাত্র ৩ দিনে মানুষ উনাকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সাহায্য হিসেবে দেড় কোটি টাকা দিয়েছেন।
এরই মধ্যে আরো কয়েকজন তাসরিফ, ফারাজ করিম চৌধুরী, তৌহিদ আফ্রিদি, আল সুন্নাহ সংগঠন সহ অনেকেই দাঁড়িয়ে যায় বন্যার্তদের পাশে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের আহবানে মানুষ টাকা পাঠাতে শুরু করে এবং তাঁরা সেই টাকা দিয়ে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে আর্থিক সহযোগিতা করেন। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সহ অন্যান্যরা বন্যা পরবর্তী সময়ে পুর্নবাসন কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
আসি এখন অবিশ্বাসের খেলায়..
সিলেটের এই বন্যা শুধু যে সিলেটের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমাদের বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র ভারত যাদের সাথে নাকি আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক উনারাই আমাদের আকস্মিক বন্যার জন্য দায়ী।
হঠাৎ করে উনারা নদীর ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় বন্যার পানিতে সিলেট সহ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে।
বলতে পারেন ভারতের পানি আমাদের তলিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু দেখা যায় শুকনো মৌসুমে উনারা পানি আটকে রেখে দেয়।
যার ফলে আমাদের চাষাবাদ ব্যাহত হয়।
এবারের বন্যায় আমরা রাজনৈতিক দল বা নেতৃবৃন্দের বন্যার্তদের পাশে খুব কমই দেখতে পেয়েছি।
বিশেষ করে এই বন্যা সিলেটের মন্ত্রীদের খুব কম আমরা সিলেটের মাটিতে দেখতে পেয়েছি।
আজ যদি আমাদের কোনো রাজনৈতিক নেতা বা এমপি মন্ত্রী মহোদয় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এর মত সাহায্য আহ্বান করতেন তাহলে কি মানুষ তাদের বিশ্বাস কিরে এই পরিমাণ সাহায্য করত..?
তাই এই বন্যা দেখিয়ে দিয়েছে কাদের কে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দেওয়া যায়।